জহির উদ্দিন স্বপন
জহির উদ্দিন স্বপন

বিএনপি নেতা জহির ও নাসির রিমান্ডে, কারাগারে ১৭২ জন

মেট্রোরেলে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শনিবার এ আদেশ দেন। বনানীতে সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মামলায় বিএনপির নেতা জহির উদ্দিন স্বপন ও নাসির উদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে বিএনপির এই দুই নেতাকে মেট্রোরেলে অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে তাঁদের ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জহির উদ্দিন ও নাসির উদ্দিনকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

এর আগে রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে আগুন ও ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ তিনজনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার সিএমএম আদালত আজ এ আদেশ দেন।

কারাগারে ১৭২ জন

নাশকতার বিভিন্ন মামলায় আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৭২ জনকে বিকেলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অনেকের স্বজনেরাই দুপুর ১২টার দিক থেকে আদালতের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন।

চকবাজার থানার মামলায় আলামিন নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। ছেলের সঙ্গে দেখা করার জন্য মা মাকছুদা খাতুন আদালতে আসেন। বিকেল চারটার সময়ও ছেলের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। মাকছুদা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, আলামিন নিউমার্কেট থেকে বাসায় ফেরার পথে পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। এই মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে আন্দোলনে ছিলেন না।

আদাবর থানায় নাশকতার মামলায় শেখ রেদোয়ান ও তাঁর বাবা শেখ জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে হাজির করা হয়। সন্তানকে দেখার জন্য দুপুর ১২টার দিকে আদালতে আসেন সুমাইয়া খাতুন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা থাকেন মোহাম্মাদপুরে। মধ্যরাতে গিয়ে তাঁর স্বামী ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নাশকতার কোনো ঘটনার সঙ্গে তাঁর ছেলে ও স্বামী জড়িত না বলে দাবি করেন সুমাইয়া খাতুন।

গ্রেপ্তার আসামিদের আইনজীবীরা দাবি করছেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নাশকতার ৬১টি মামলায় আজ ১৭২ জনকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসামি গ্রেপ্তার করেছে পল্লবী থানা–পুলিশ (১৮ জন) ও যাত্রাবাড়ী থানা (১৬ জন)।