গাজীপুর সিটির ভোটে অত্যন্ত সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন। এই সন্তুষ্টির কথা আজ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি ভোট গ্রহণ শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনে বলেছেন, এই সন্তুষ্টির কারণ ভোটার, প্রার্থী ও গণমাধ্যমও ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট। তাই নির্বাচন কমিশনও অত্যন্ত সন্তুষ্ট।
আজ সকাল আটটা থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়।
এরপর মো. আলমগীর বলেন, গণমাধ্যম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষণ, দলের প্রতিবেদন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন তাঁরা দেখেছেন। সিসিটিভিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ হয়েছে। সব প্রার্থী, বিশেষ করে মেয়র প্রার্থীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
কত শতাংশ ভোট পড়েছে, তা জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, গণনা শেষ হলে বলা যাবে। তবে তাঁরা আশা করছেন, ভোট পড়ার হার ৫০ শতাংশের কম হবে না।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী ও ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি, মোট ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি।
নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীরা হলেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, টেবিলঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা), লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এ ছাড়া স্বতন্ত্র থেকে মেয়র পদে ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।