ডেঙ্গু পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক জানিয়ে চট্টগ্রামের মেয়রকে সিভিল সার্জনের চিঠি

ডেঙ্গু মশা
ফাইল ছবি

ডেঙ্গু পরিস্থিতি গত বছরের চেয়ে আশঙ্কাজনক উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার মেয়রকে জরুরি চিঠি দিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধরেন সিভিল সার্জন। একইভাবে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককেও (সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ) উদ্বেগের কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

সংস্থাগুলোকে মশকনিধনসহ যাবতীয় করণীয় নির্ধারণের অনুরোধ জানানো হয় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে। করপোরেশনের মেয়রকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, বর্ষা মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে করপোরেশন এলাকায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগী দ্রুত বাড়ছে, যা গত বছরের তুলনায় আশঙ্কাজনক।

চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৫ দিনে চট্টগ্রামে ১৯৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও মশকনিধনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

একই পরিস্থিতি উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ) ও রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) চিঠি দেন সিভিল সার্জন। এতে এই দুই প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।

মেইল ও রাষ্ট্রীয় ডাকযোগে দপ্তরগুলোতে এ চিঠি পাঠানো হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ইলিয়াছ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগেও করপোরেশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। এবার আবারও তা অবহিত করা হয়। এ ছাড়া কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছি।’

করপোরেশনের মেয়রকে দেওয়া চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এ বিষয়ে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। চিঠির বিষয়ে জানি না।

তবে ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আগামী সপ্তাহে একটা সমন্বয় সভা আহ্বান করা হবে। এ ছাড়া সব কটি ফগার মেশিনকে কার্যকরভাবে ইতিমধ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আরও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ২৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে এ বছর চট্টগ্রামে ৬৮৭ জন আক্রান্ত হন। মারা যান ১২ জন। তাঁদের মধ্যে তিনজন কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ি থেকে এসে এখানে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।