প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেয় মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি। গতকাল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেয় মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি। গতকাল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে

এবারের দুর্গাপূজা আনন্দ উৎসবে পরিণত হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এবারের দুর্গাপূজা বিশেষ আনন্দ উৎসবে পরিণত হয়েছে। এবার পূজায় চার দিনের ছুটিতে সবাই খুব আনন্দিত। দুর্গাপূজা আর ছুটি মিলিয়ে সারা দেশে আনন্দের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নন, সব ধর্মের মানুষ আনন্দ করছে। গতকাল শনিবার রাজধানীতে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা সত্যিকার অর্থে নতুন বাংলাদেশের জন্য তৈরি হোন। এটার পেছনে থাকুন। নির্ভয়ে, উচ্চকণ্ঠে বলবেন এটা আমরা চাই। এই সুযোগ আমাদের। এই সুযোগ গ্রহণ করুন এবং এটা প্রতিষ্ঠিত করুন। প্রতিষ্ঠিত করার এই সুযোগ। যেন আমরা যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় দুর্গাপূজা যেমন ইচ্ছা তেমন করব। বিশেষ সেবা পাওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না।’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আপনাদের ছেলেরা–আপনাদের মেয়েরা যেন পূর্ণ অধিকার নিয়ে রাস্তাঘাটে চলতে পারে। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারে। যেকোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারে। অন্য যেকোনো নাগরিকের ছেলেমেয়ে যে অধিকার পায়, আপনাদের ছেলেমেয়ে সে অধিকার পাবে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এমন একটা দিন কাটিয়ে এসেছি, যখন আপনাদের ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা ছিল না। ঘর থেকে বের হয়ে গেছে। ঘরে ফিরবে কি ফিরবে না। স্বাভাবিকভাবে ফিরবে তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। মুসলমানের ছেলেমেয়ে যখন বের হয়, তখন তারও নিশ্চয়তা ছিল না। আমরা ওই রকম সমাজটা চাচ্ছি না। সবার ছেলেমেয়ে, সমান আত্মবিশ্বাস নিয়ে, সগৌরবে সারা দেশে ঘুরে বেড়াবে। নিজের কাজকর্ম করবে। এ দেশ নিয়ে স্বপ্ন দেখবে। সেই স্বপ্নের পেছনে তারা নিজেদের নিয়োজিত করবে। সেই বাংলাদেশ চাই।’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের কারণে আমরা এমন এক সমাজ থেকে বের হয়ে এসেছি। যেখানে সমস্ত অধিকার ছিল ছোট্ট একটা গোষ্ঠীর কাছে। বাকি মানুষের কোনো অধিকার ছিল না। আমরা সবাই অধিকারবঞ্চিত ছিলাম। এই অভ্যুত্থান হঠাৎ করে তাদের থেকে দেশকে মুক্ত করেছে। এখন এই অধিকার আমাদের সবার কাছে আসতে হবে।’