সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোটা বহাল রাখার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা
সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোটা বহাল রাখার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা

ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোটা বহালের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল

সরকারি চাকরিতে পাঁচ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোটা বহাল রাখার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

রোববার রাতে ‘সচেতন পাহাড়ি শিক্ষার্থীবৃন্দের’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মশাল মিছিলের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে মিছিল বের করে শহীদ মিনার হয়ে আবার গোলচত্বরে ফিরে আসে। পরে সেখানে সমাবেশ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করো’, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধি ১৯০০ আমার রক্ষাকবচ’, ‘পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান নেন৷ এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘পাঁচ শতাংশ কোটা, বহাল চাই, বহাল চাই’, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি নিয়ে টালবাহানা, চলবে না’ স্লোগান দেন।

সমাবেশে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুদর্শন চাকমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা গুণগতভাবে ভালো নয়। দুর্নীতির মাধ্যমে পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়৷ প্রান্তিক এলাকায় শিক্ষাব্যবস্থা আরও নাজেহাল। এ অবস্থায় কোটা না থাকলে পাহাড়িরা আরও পিছিয়ে পরবে।’

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী টনক চাকমা বলেন, ‘অনেকের বাড়ির পাঁচ কিলোমিটার আশপাশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। থাকলেও সেখানে শিক্ষক সংকট। আবার ভাষাগত সমস্যা তো আছেই। ভাষা না জানার কারণে অধিকাংশ পাহাড়ি শিক্ষার্থী স্কুল থেকেই ঝরে পড়ে। তাই সংবিধানের আলোকে পাহাড়িদের পাঁচ শতাংশ কোটা বহাল রাখতে হবে।’

বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সহসভাপতি ক্যজরি মারমা সমাবেশ ও মশাল মিছিলে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ধ্রুব বড়ুয়া ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রোনাল চাকমা।