ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত

আনোয়ারুল আজীম হত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পুলিশ

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার মামলায় আজ সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। পরে আগামী ২৪ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ঠিক করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান আজ এই দিন ঠিক করেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক জালাল উদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এ মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে কারাগার থেকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।

গত ১৩ মে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে খুন হন ঝিনাইদহ-৪ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। এ হত্যায় জড়িত অভিযোগে চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়া, তাঁর ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়া এবং হত্যার সময় কলকাতায় অবস্থান করা শিলাস্তি রহমান প্রথমে গ্রেপ্তার হন। পরে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম (মিন্টু) এবং একই কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদকেও গ্রেপ্তার করে ডিবি। চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলী নামের আরও দুজন। আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম ছাড়া প্রত্যেকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ডিবি সূত্র বলছে, হত্যায় যাঁরা সরাসরি অংশ নিয়েছেন, তাঁদের প্রধান ছিলেন চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়া। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন। শিমুল ও আক্তারুজ্জামান বড় অঙ্কের অর্থ দেওয়ার কথা বলে গত ২ মে মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে কলকাতার একটি হোটেলে নিয়ে রাখেন। যে ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজীম নিহত হন, সেই ফ্ল্যাটে ১০ মে ওঠেন মোস্তাফিজুর। এর দুই দিন পর ১২ মে ফয়সালও সেখানে ওঠেন। এরপর এই ফ্ল্যাটে ব্যবসায়িক কাজের কথা বলে ডেকে এনে হত্যা করা হয় আনোয়ারুল আজীমকে।

এ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ভারতে আছেন দুজন।