এবার দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করার নতুন সময় ২০৩০

দেশে এখনো ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৩ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ নিরক্ষর।

প্রতীকী ছবি

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করলেও তা পূরণ হয়নি। এখনো দেশের প্রায় তিন কোটি মানুষ নিরক্ষর। এ অবস্থায় ২০৩০ সালের মধ্যে এই লক্ষ্য পূরণের নতুন সময়সীমা ঠিক করা হয়েছে।

এ অবস্থায় আজ ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে। ইউনেসকোর প্রতিপাদ্যের সঙ্গে মিল রেখে এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’। এ উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকছে।

প্রায় ১৪ বছর আগে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০১৪ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করা হয়েছিল।

পরে ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে ইশতেহারে বলা হয়েছিল, শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনের লক্ষ্যে বয়স্কদের জন্য গৃহীত উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

আর ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দলটি ইশতেহারে বলেছে, বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে নিরক্ষরতার অভিশাপমুক্ত করা হবে। তবে সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকলেও এখনো নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণ হয়নি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এখনো ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৩ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ নিরক্ষর।

দিবসটির প্রাক্কালে গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান। এ সময় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্ট্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক ২০২০’-এর তথ্য উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ এখনো প্রায় ২৪ শতাংশ জনগোষ্ঠী নিরক্ষর।

বর্তমানে দেশে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা কত, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ৩ কোটি ২০ লাখের মতো। তবে এখানে কিছু শিক্ষিত জনগোষ্ঠীও আছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করা তাঁদের লক্ষ্য। তবে এর আগেই এটি হবে বলে আশা করছেন।

অনলাইনে বদলি ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু

পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর এখন সারা দেশেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলি অনলাইনে শুরু হচ্ছে। ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এই কার্যক্রম।

এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর বদলির আবেদন শুরু করে একটি নির্ধারিত সময় দেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদন ছাড়া কোনোভাবেই বদলির সুযোগ থাকবে না।

তবে মহানগর এলাকার (ঢাকাসহ ১১টি মহানগর) বদলির কার্যক্রম আপাতত বন্ধই থাকবে। মহানগরের বাইরে দেশের অন্যান্য এলাকার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এখন বদলির কাজটি হবে। প্রাথমিকের মাঠ প্রশাসনের বদলির কাজও অনলাইনে করা হবে।

নতুন পদ্ধতিতে নির্ধারিত একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্ধারিত আইডি ব্যবহার করে শিক্ষকদের বদলির আবেদন করতে হবে। এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ওই শিক্ষক বদলির যোগ্য কি না বা কোন বিদ্যালয়ে বদলি হবেন, তা নির্ধারিত হবে।