দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনার যথাযথ বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে এসব ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশি মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম) নামের একটি সংগঠন। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এইচআরসিবিএমর আহ্বায়ক আইনজীবী লাকী বাছাড়।
লাকী বাছাড় বলেন, জাতীয় পতাকা অবমাননার দায়ে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ ও ‘হয়রানিমূলক’।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বাক্রুদ্ধ করার অপকৌশলে সংখ্যালঘুরা অস্তিত্বহীনতার সংকটে যখন ক্ষোভে ফেটে পড়ে, তখন সারা দেশে হাজার হাজার সংখ্যালঘুর নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়। পাঁচ শর ওপরে নিরীহ সংখ্যালঘুকে আহত করা হয়। শতাধিকের ওপরে ঘরবাড়ি লুটপাট করা হয়।
সেবক কলোনিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নারীদের শ্লীলতাহানি করা হয়। বহু মন্দির ভাঙচুর করা হয়। চট্টগ্রাম কোর্টে আইনজীবীদের নামে বহু মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়।’
চিন্ময়ের জামিন শুনানির দিন ‘নির্বিচারে’ পুলিশি ধরপাকড়, চেম্বার ভাঙচুর ও প্রাণনাশের ‘হুমকি’ দিয়ে আইনজীবীদের আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন লাকী বাছাড়। আগামী ২ জানুয়ারি জামিনের শুনানির দিন ‘লিগ্যাল টিম’ গঠন করে চিন্ময় দাশের শুনানির ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানান তিনি।