দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন

ইসির ঘোষিত হারের চেয়েও ভোটার কম ছিল: খেলাফত মজলিস

খেলাফত মজলিস বলেছে, নির্বাচন কমিশন ভোট পড়ার যে হার বলছে, কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল তার চেয়ে কম। ভোট না দিয়ে জনগণ একতরফা ও প্রহসনমূলক ডামি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।

ভোট শেষে খেলাফত মজলিসের আমির আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করেছেন।

আজ রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে।  

বিবৃতিতে বলা হয়, দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের গণদাবি উপেক্ষা করেই সরকার একতরফা নির্বাচন করেছে। তবে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত না হয়ে জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। সারা দেশে ভোটারদের গড় উপস্থিতি অনেক কম ছিল। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, কিছু কিছু কেন্দ্রে অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও দেখা গেছে। খিচুড়ি খাইয়ে, যানবাহনের ব্যবস্থা করেও কেন্দ্রে ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে পারেনি।

খেলাফত মজলিস নেতারা অভিযোগ করেন, গণমাধ্যম ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দেখানোর জন্য অনেক কেন্দ্রে ভুয়া ভোটারের সারি তৈরি করা হয়। প্রকৃত ভোটাররা এসব ভোটকেন্দ্রের সারিতে ছিলেন না। বিরোধী দলবিহীন এ রকম সাজানো ও একতরফা নির্বাচনেও সরকার মনোনীত প্রার্থীদের দৌরাত্ম্যের কারণে বিভিন্ন আসনে ডামি প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন। প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করতে রাষ্ট্রীয় কোষাগার খালি করা হয়েছে। এসবের হিসাব একদিন দিতে হবে তাদের।

আজকের নির্বাচনকে একতরফা ও প্রহসনমূলক ডামি নির্বাচন উল্লেখ করে ভোট বাতিলের দাবি করেন খেলাফত মজলিসের নেতারা। দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠারও দাবি করেন তাঁরা।

আজ বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে বলে ধারণা তাঁর। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এটা নিশ্চিত নয়। প্রকৃত হিসাব এখন বলা যাবে না। হিসাবে কিছুটা ব্যত্যয়ও হতে পারে।