ঢাকার ধানমন্ডি থেকে শ্যামলীর দিকে যেতে শ্যামলী মোড় পার হলেই চোখে পড়ে অনেকগুলো সুউচ্চ আবাসিক ভবন। ভবনগুলো একটি আবাসিক এলাকার গেটেড কমিউনিটি প্রজেক্ট। আবাসিক এলাকার নাম ‘আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হোসেন হাউজিং’। প্রায় ১০ বিঘা এলাকাজুড়ে আধুনিক সুবিধার সমন্বয়ে নির্মিত ১১টি আবাসিক ভবনের মধ্যে পাঁচটি ভবন ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনটির নির্মাণকাজ চলছে। বাকি তিনটির নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে।
শ্যামলী এলাকায় বসবাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হাতের নাগালেই সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পাওয়া যায়। দেশের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবার জোন হিসেবে পরিচিত এলাকাটি হোসেন হাউজিং থেকে হাঁটার দূরত্বে। হোসেন হাউজিংয়ের কাছেই বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল। আবার মূল সড়কের ওপারে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এ ছাড়া শিশু হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ স্বনামধন্য অনেক বিশেষায়িত হাসপাতাল শ্যামলীতেই অবস্থিত।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, আশা বিশ্ববিদ্যালয়সহ নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শ্যামলীকে বসবাসের জন্য আদর্শ করে তুলেছে। অন্যদিকে নিত্যদিনের বাজার-সদাইয়ের জন্য রয়েছে প্রিন্স বাজার, শ্যামলী স্কয়ার শপিং মল, টোকিও স্কয়ার এবং অতিপরিচিত কৃষি মার্কেট।
শ্যামলীতে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক মানুষের আবাসন–চাহিদা মেটাতে নিজস্ব জমিতে গড়ে তুলেছে হোসেন হাউজিং। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণাধীন তিনটি ভবনের ফ্ল্যাট বিক্রি শুরু করেছে। ১২ তলাবিশিষ্ট এই তিনটি ভবনে ১ হাজার ১১৫ বর্গফুট থেকে ২ হাজার ৭৪৯ বর্গফুট, ৩ এবং ৪ বেডরুমের আধুনিক অ্যাপার্টমেন্ট দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। যে কেউ চাইলে এখান থেকে অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে পারবেন। এমনকি চাইলে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা করে দিতেও সাহায্য করছে।
হোসেন হাউজিং আবাসিক এলাকাজুড়ে নির্মাণাধীন ১১টি আধুনিক ভবনের পাশাপাশি এই আবাসিক এলাকায় থাকছে মসজিদ, শিশুদের খেলার জন্য স্থান, এটিএম বুথ, লন্ড্রি, সাইক্লিং ও জগিং ট্র্যাক, মিনি মার্ট ইত্যাদি। রয়েছে পৃথক লাইফস্টাইল কমপ্লেক্স, যেখানে সুইমিং পুল, জিম, ইয়োগা, ইনডোর প্লে জোন, কমিউনিটি হলসহ কিছু বাড়তি সুবিধা, যা শ্যামলীতে বিলাসবহুল বসবাসের অভিজ্ঞতা দেবে।
শ্যামলীর আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের হোসেন হাউজিং প্রকল্পটি চমৎকার স্থাপত্যশৈলী উদাহরণ, যা আনোয়ার গ্রুপের আন্তর্জাতিক মানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তৈরি। এই অ্যাপার্টমেন্টগুলোর ফ্লোর ডিজাইনে প্রাধান্য পেয়েছে ফাংশনালিটি, যা প্রতি বর্গফুটের চমৎকার বণ্টন করে সর্বোচ্চ আলো-বাতাস নিশ্চিত করে। হোসেন হাউজিং আবাসিক এলাকার ডিজাইনে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত সবুজায়ন।
প্রায় দুই যুগ ধরে শহরের আবাসন–চাহিদা মেটাতে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক ডিজাইন, নির্মাণের মান, গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং নিজস্ব নির্মাণসামগ্রী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় হোসেন হাউজিংয়ে নতুন তিনটি ভবনের নির্মাণ শুরু করেছে। শ্যামলীর দোরগোড়ায় সব নাগরিক সুবিধা নিয়ে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের হোসেন হাউজিং হোক বিলাসবহুল ও স্বাচ্ছন্দ্যময় বসবাসের নতুন ঠিকানা।