গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার

নেত্রকোনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাত, যুবক গ্রেপ্তার

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) ঘরে ঢুকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা সদর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম উত্তম বিশ্বাস (২৩)। তিনি মোহনগঞ্জের সুয়াইর ইউনিয়নের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বখাটে উত্তম বিশ্বাস ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতেন। সম্প্রতি ওই ছাত্রী তার পরিবারকে বিষয়টি জানিয়ে দিলে ওই যুবক ক্ষিপ্ত হন। গত রোববার ভোরে ছাত্রীর বাবা বাড়ির পাশের বিলে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যান। এ সময় তার মাও তার বাবার সঙ্গে যান। ঘরে মেয়েটিসহ তার ছোট দুই ভাই-বোন ঘুমাচ্ছিল। সেই সুযোগে উত্তম ঘরে ঢুকে ওই ছাত্রীকে গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এতে বাধা দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেন। কিন্তু মেয়েটি তাকে ঠেলে সরে যেতে চাইলে ঠোঁট, গলা ও জিবে আঘাত করেন উত্তম। পরে ভাই-বোনদের ঘুম ভেঙে গেলে তাদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন চলে এলে উত্তম দৌড়ে পালিয়ে যান।

পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গত সোমবার মেয়েটির মা বাদী হয়ে উত্তমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা করেন।

ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। মাছ ধইরা বিক্রি কইরা সংসার চালাই। কষ্ট কইরা মেয়েডারে পড়াইতাচ্ছি। উত্তম আমার মেয়েডারে এমন করার পর থাইক্কা আমরা মানসিকভাবে ভাইঙ্গা পড়ছি। জিব ও ঠোঁটে আঘাত করায় অহনো আমার মেয়েডা ভালো কইরা কথা কইতে পারতাছে না। এলাকার প্রভাবশালীরা চাপ দিতাছে ঘটনাডা সালিসে শেষ করতে। এ নিয়ে ভয়ে আছি। শুনছি পুলিশ উত্তমরে গ্রেপ্তার করছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দাসের নেতৃত্বে অভিযুক্ত উত্তমকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার দুপুরে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।