বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে অংশ নেওয়া মানুষের একাংশ। আজ ৩ আগস্ট শনিবার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশে অংশ নেওয়া মানুষের একাংশ। আজ ৩ আগস্ট শনিবার

৫৩ বছরে মানুষ এমন দমন–পীড়ন দেখেনি: বাম নেতাদের বিবৃতি

বাম দলগুলো বলেছে, গত কয়েক দিনে সরকার স্মরণকালের ভয়াবহ রাজনৈতিক দমন, পীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব গণ–অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। এ ধরনের দমন–পীড়ন গত ৫৩ বছরে মানুষ দেখেনি।

আজ শনিবার এক বিবৃতিতে দলগুলোর নেতারা এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকার ন্যায়সংগত দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন করতে দুই শতাধিক মানুষকে হত্যা ও সাত হাজারের বেশি মানুষকে আহত করেছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২ হাজারের বেশি মানুষকে। আড়াই লাখের মতো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একদিকে নির্বিচার গুলি, হত্যা আর আহত করা, অন্যদিকে কৃত্রিম মায়াকান্না করে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। সরকারের প্রচার দেখে মনে হয়, মানুষের জীবনের চেয়ে সম্পদই এখানে প্রধান বিষয়। আন্দোলনকারীদের হত্যা করতে যত নিষ্ঠুরতা, সম্পদ রক্ষায় ততটাই নির্লিপ্ততা প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ। তদন্তের আগেই বিরোধীদের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি ও ঘোষিত সব কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন নেতারা। তাঁরা শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ; কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; গণগ্রেপ্তার বন্ধ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করে দোষীদের শাস্তি ও হতাহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী; ফ্যাসিবাদী বিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব) আহ্বায়ক সন্তোষ গুপ্ত, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান।