মাদারীপুরে ছাত্রদলের সাবেক নেতার রোগনির্ণয় কেন্দ্র ভাঙচুর

মাদারীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতির মালিকানাধীন রোগনির্ণয় কেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রাতে পৌর শহরের সদর হাসপাতাল এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুর পৌর এলাকায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতির মালিকানাধীন একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সদর হাসপাতাল–সংলগ্ন সড়কে অবস্থিত ‘প্রত্যাশা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে’ এ ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহীন মৃধা।

শাহীন মৃধার অভিযোগ, চাঁদার এক লাখ টাকা না দেওয়ায় রোগনির্ণয় কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে। এতে আলট্রাসনোগ্রাফির যন্ত্রসহ প্রায় ৫৭ লাখ টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ ঘটনার দাবি করে রাত ৯টার দিকে ওই রোগনির্ণয় কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করেন শাহীন মৃধা। তিনি বলেন, ‘এক দশকের বেশি সময় ধরে মাদারীপুর পৌর শহরে এ প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি। ব্যবস্থাপনা পরিচালক হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে একাধিক মুঠোফোন নম্বর থেকে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল সন্ত্রাসীরা।

দাবিকৃত অর্থ না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ১০ থেকে ১২ জনের একদল সন্ত্রাসী আমার প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এতে রোগনির্ণয় কেন্দ্রের সামনের কাচ, বিভিন্ন পরীক্ষাগার, বিশ্রাম কক্ষসহ আলট্রাসনোগ্রাফি যন্ত্র ভাঙচুর করা হয়। এ সময় কয়েক কর্মীকেও মারধর করে সন্ত্রাসীরা। পরে মাদারীপুর সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশ আসার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।’

গতকাল বিকেলে মাদারীপুর শহরের চৌরাস্তা এলাকায় বিএনপির কর্মী সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জেলা বিএনপির দুই পক্ষের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহীন মৃধার প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

বিএনপির দলীয় কোনো কারণে এ হামলা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে শাহীন মৃধা বলেন, ‘দলীয় কোনো কারণে আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা হয়নি। চাঁদা না দেওয়ায় আমাকে উচ্ছেদ করতেই এ হামলা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করে আপাতত কারও নাম বলতে পারছি না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করা হবে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিএনপির নিজেদের মধ্যে কোন্দলে এ হামলা নাকি চাঁদাবাজি বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে ভুক্তভোগীর অভিযোগ, চাঁদার টাকা না দেওয়ায় তাঁর প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্তের কাজ করছে।