ছাত্রদলের ওপর হামলা নিয়ে ঢাবি উপাচার্য

কোথায় কী, তা এখনো জানি না

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার বিষয়ে এখনো জানেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ‘সাংঘর্ষিক অবস্থান’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোথায় কী, তা আমরা এখনো জানি না।’

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ‘সাংঘর্ষিক অবস্থানের’ বিষয়ে প্রশাসনের অবস্থান কী, জানতে চাইলে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান আজ রাত আটটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোথায় কী, তা আমরা এখনো জানি না। আসলে ঘটনাটা কী, তা জানার জন্য প্রক্টরকে চার কার্যদিবসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। হঠাৎ কোনো কথা বলা কঠিন। যাঁরা রাজনৈতিক ময়দানে আছেন, তাঁরা অনেক কথা বলতে পারেন। কিন্তু আমাদের দেখতে হয় বস্তুনিষ্ঠভাবে।’

এদিকে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের ১৫ নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন বলে আজ সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাঁর দাবি অনুযায়ী, আহত ব্যক্তিরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সম্পাদক মো. মাসুম বিল্লাহ, আবদুল জলিল আমিনুল, ফারহান আরিফ, নাছির উদ্দীন শাওন, রাজু আহমেদ, সুপ্রিয় দাশ শান্ত ও নাজমুস সাকিব, সহসাধারণ সম্পাদক মুন্সী সোহাগ, প্রচার সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক জসিম খান, বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাইফ খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকিব জাভেদ রাফি এবং কবি জসীমউদ্‌দীন হল শাখার কর্মী জোসেফ আল জুবায়ের। আহত ব্যক্তিরা ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান তিনি।

যদিও হামলার ঘটনাকে ‘ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আজ ছাত্রলীগের সব নেতা-কর্মীর মনোযোগ ছিল শিক্ষার্থীদের সমস্যা-সংকট সমাধানে প্রশাসনের সঙ্গে দর-কষাকষির দিকে। ছাত্রদলের সঙ্গে কিছু ঘটে থাকলে তা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ।