স্বাধীনতার পদাবলি

পুনর্জাগরণ

দ্রুতলিখনের ভাষায় রচিত ভাড়াটে খুনিদের এই জানালাবিহীন ঘর। আর রহস্যময় একটি চিঠির কেবল হাতবদল, হেমন্তের মদের দোকানে।

বধ্যভূমির পথে সারি সারি পাথর, বিকচ মুণ্ডু যেন–বা।

বিষণ্ন শহর, তোমাকে কী নাম দেব আমি?

কারফিউর অন্ধকারে আমাদের উন্মত্ত মিলনের রাত। গুপ্ত সংকেতে আমাদের প্যারানয়েড রোদের দুপুর।

তারপর যুদ্ধবিমান। বাতাসের নিরুচ্চার অভিশাপে পরাগশূন্য হেমন্তের অন্তিম মাধুরী। রণাঙ্গনে গুলিবিদ্ধ ঘোড়ার শেষ চিৎকার।

তবু, মাইনের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা গোলাপের সৌন্দর্য যাচনা করেছি।

বিষণ্ন শহর, পুনর্জাগরণের মতো সুন্দর হও তুমি।