আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সংবাদ সম্মেলনে নারী মাদক গ্রহণকারীদের তথ্য জানানো হয়। ঢাকা, ২৯ এপ্রিল
আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সংবাদ সম্মেলনে নারী মাদক গ্রহণকারীদের তথ্য জানানো হয়। ঢাকা, ২৯ এপ্রিল

দেশে নারী মাদকসেবীর সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসায় পিছিয়ে

দেশে নারী মাদকসেবীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু মাদকের চিকিৎসায় পিছিয়ে আছেন তাঁরা। নারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি প্রজননস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে মাদক সেবন। এর ফলে একজন নারীর সন্তানধারণ ও লালন–পালন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আজ সোমবার রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ১০ বছর উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, নারী মাদকনির্ভরশীলদের চিকিৎসাপ্রক্রিয়াটি পুরুষের তুলনায় বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ। তাঁদের চিকিৎসা ও প্রতিরোধের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে অভিভাবক ও নীতিনির্ধারকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যা দেশের একমাত্র নারীদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসাকেন্দ্র। শুরু থেকে এই চিকিৎসা কেন্দ্র নারীদের মাদকনির্ভরশীলতা, মানসিক ও আচরণগত সমস্যার চিকিৎসা দিয়ে আসছে।

এ সময় চিকিৎসা কেন্দ্রটির মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস মজুমদার। এতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৭৬২ জন নারী এই কেন্দ্র থেকে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ইয়াবাসহ একাধিক মাদক গ্রহণকারী নারীর সংখ্যা বেড়েছে। এ ছাড়া ঘুমের ওষুধ, মদ, শিরায় মাদক গ্রহণকারী ও অন্যান্য মাদক গ্রহণকারী নারীও রয়েছেন।

আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ সাইকোলজিস্ট রাখী গাঙ্গুলীর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্র ব্যবস্থাপক ফারজানা ফেরদৌস।