জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদকের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুদক বলেছে, মতিউরের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্তের সিদ্ধান্ত হয় ৪ জুন। এরপর একজন উপপরিচালককে প্রধান করে যে তিন সদস্যের তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে, তারা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
দুদকের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন দুপুরে সেগুনবাগিচায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এর আগে আজই এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে মতিউর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মতিউর রহমান কিছুদিন ধরে আলোচনায় আছেন তাঁর ছেলের কারণে। কোরবানির ঈদে সাদিক অ্যাগ্রো নামের একটি খামার থেকে তাঁর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
এর পর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি থাকার বিষয়ে একের পর এক খবর প্রকাশিত হতে থাকে।
দুদক সচিব ব্রিফিংয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদের আজ অফিস সময়ের মধ্যে দুদকে উপস্থিত হয়ে তাঁর বক্তব্য না দিলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া আগামীকাল বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের দুদকে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া রয়েছে। তাঁরা আগামীকাল না এলে তাঁদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোচিত এই কর্মকর্তা রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক পিএলসির একজন পরিচালক। তবে আজ রোববার সকালে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে মতিউর রহমানকে উপস্থিত না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়। চলতি সপ্তাহের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকে তাঁকে অপসারণও করা হতে পারে বলে জানা গেছে।