দেশের ২২টি এয়ারলাইনস, হেলিকপ্টার অপারেটর এবং ফ্লাইং একাডেমিকে পাইলটদের শিক্ষাসনদ (একাডেমিক সার্টিফিকেট) যাচাই করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। গত মঙ্গলবার বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের পক্ষ থেকে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বেবিচক সূত্রে জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বৈমানিক হিসেবে নিয়োগ পেতে একজন শিক্ষাসনদে জালিয়াতি করেছিলেন। বিষয়টি সামনে আসার পরও বেবিচকের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সংস্থাটিতে ফাস্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন সাদিয়া আহমেদ। নিয়ম অনুযায়ী, বৈমানিক হিসেবে নিয়োগ পেতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করতে হয়। কিন্তু সাদিয়া মানবিক বিভাগ থেকে পাস করেও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করার জাল সনদ দেন।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ইতিমধ্যেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সাদিয়াকে সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রেখেছে। এ সম্পর্কে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজম বলেন, বেবিচকের পক্ষ থেকে পাইলট সনদ ইস্যু করা হয়। সেটি দেখেই সাদিয়া আহমেদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই পাইলট সনদ ঠিক আছে কি না, সেটি বেবিচক তদন্ত করে দেখছে। বেবিচক সূত্রে জানা যায়, তাদের প্রাথমিক তদন্তে সাদিয়ার সনদ জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিগগিরই তাঁর সনদ বাতিল করা হবে।
এদিকে আগামী ৩১ মের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোয় কর্মরত অন্যান্য পাইলটদের শিক্ষাসনদ যাচাই করে আগামী ৩১ মে এর মধ্যে এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন বেবিচকে জমা দিতে বলা হয়েছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসসহ একাধিক বিমান সংস্থা চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।