বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্দমায় জমে আছে আবর্জনা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্দমায় জমে আছে আবর্জনা

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। আবাসিক হল, শ্রেণিকক্ষ, ছাত্র–শিক্ষক মিয়নায়তন (টিএসসি), খাবারের দোকানসহ সর্বত্র মশার উপদ্রব।

মশকনিধনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, যত্রতত্র বেড়ে ওঠা ঝোপঝাড় ও আগাছা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পয়োনিষ্কাশনের নর্দমা ও ময়লা ফেলার জায়গা নিয়মিত পরিষ্কার না করা এবং মশকনিধনে ওষুধ না ছিটানোয় মশার উপদ্রব বাড়ছে।

মশকনিধনে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন, জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নর্দমায় সংস্কারকাজ চলছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি আটকে থাকায় মশার উপদ্রব বেশি হচ্ছে। এ কারণে মশানাশক ওষুধেও কাজ হচ্ছে না। আগামী এক মাসের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ হলে মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব বলে আশা করছি।’

মশার উপদ্রব কমাতে কেন্দ্রীয়ভাবে সব হল প্রাধ্যক্ষদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. নূরুল হায়দার। তিনি বলেন, ‘এটি প্রতিটি হলের নিজস্ব ব্যাপার। আমার জানামতে, সিটি করপোরেশন থেকে সব হলেই ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ দেওয়া হয়েছে। শহীদ নাজমুল আহসান হলে আমি নিয়মিত ড্রেন ও আগাছা পরিষ্কার করাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য প্রতিষেধক শাখা থেকে সব হলেই ব্লিচিং পাউডার, কেরোসিনসহ সব ধরনের মশানাশক ওষুধ সরবরাহ করা হয়। আলাদা আলাদাভাবে আসলে মশা নিরোধ করা সম্ভব নয়। সিটি করপোরেশনের সহায়তায় একটি নির্দিষ্ট দিনে অভিযান চালালে এ সমস্যার সমাধান করা যাবে।’

কয়েক দিন ধরে দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈশা খাঁ হলের পাশের জলাধার (ঈশা খাঁ লেক) কচুরিপানায় ভরে গেছে। এ কারণে জলাধারটি মশার উপযুক্ত উৎপত্তিস্থল হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, অনুষদ ভবন ও বিপণিবিতানের পাশের নালাগুলোয় ময়লার স্তূপ জমে থাকতে দেখা গেছে। হলের চারপাশ ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ঝোপঝাড় তো রয়েছেই।

মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়ে মশারি টাঙিয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী রিমি খাতুন। তিনি বলেন, স্থিরভাবে বসাই যায় না, একটু বসলেই মশার কামড়।

আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মো. সোহান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মশার লার্ভা নিধনে হলে এ পর্যন্ত কেবল একবার ফগার মেশিন ব্যবহার করতে দেখেছি। অথচ প্রতি সপ্তাহে ফগার মেশিন ব্যবহারের কথা রয়েছে। সন্ধ্যার পর কয়েল ছাড়া কক্ষে টেকাই যাচ্ছে না।’