রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রলীগের কমিটি ঘিরে ৪ হলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, চলছে অবস্থান-শোডাউন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটিতে ‘কাঙ্ক্ষিত’ পদ না পাওয়া নেতা-কর্মীদের মোটরসাইকেল শোডাউন। রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি কেন্দ্র করে চারটি আবাসিক হলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ, সৈয়দ আমীর আলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মতিহার হলের সামনে অন্তত ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। শিশুদের খেলনা পটকার মতো কিছু একটা হবে।

সদ্য ঘোষিত কমিটিতে ‘কাঙ্ক্ষিত’ পদ না পেয়ে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাম্পাসে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে তাঁরা নিজেরাই ককটেল বিস্ফোরণ করেছেন।

তবে আগের কমিটির উপধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও নতুন কমিটির সহসভাপতি তাওহীদুল ইসলাম বলেন, এটা তাঁরা ঘটাননি। তাঁরা ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেলে শোডাউন দিচ্ছেন।

নগরের মতিহার থানা অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) একরামুল হক বলেন, তাঁদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যোগাযোগ হচ্ছে। ক্যাম্পাসে পুলিশ সদস্যরা আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেভাবে চাইবে, তাঁরা থাকবেন।

নতুন কমিটির সহসভাপতি শাহিনুল সরকার ওরফে ডন ‘কাঙ্ক্ষিত’ পদ না পেয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন। সন্ধ্যা সাতটার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডাকছিলেন। কিন্তু হঠাৎ জানতে পারেন, সভাপতি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেন। তাঁকে প্রতিহত করতে তাঁরা সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন। মোটরসাইকেলে শোডাউন দিচ্ছেন। এটা সারা রাতই চলবে। কাল যেকোনো সময় সংবাদ সম্মেলন করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমার হারানোর কিছু নেই। যে পর্যন্ত কমিটি স্থগিত না করা হবে, ততক্ষণ ক্যাম্পাসে আমরা অবস্থান করব।’

এ বিষয়ে কথা বলতে নতুন কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

প্রায় সাত বছর পর গতকাল শনিবার রাতে ৩৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। আজ বেলা ১১টার দিকে ওই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেন। একই সঙ্গে সভাপতির এক কর্মীকে মারধর করেন। পরে সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পাসে মোটরসাইকেল শোডাউন দেন। এর মধ্যেই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।