ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর একাংশ) আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১২৩টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে এর মধ্যে আঙুলের ছাপ না মেলায় অনেক ভোটার ভোট দিতে পারছেন না বলে জানা গেছে। সকাল পৌনে নয়টার দিকে নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের আমিনুদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্রে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
সকাল থেকে ওই কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি এমনিতেই কম ছিল। এর মধ্যে চারজন ভোটারের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়, যাঁরা আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি। তালমা ইউনিয়নের পশ্চিম সদর বেড়া এলাকার ভোটার মুন্নাফ মোল্লা বলেন, ইভিএমে তাঁর আঙুলের ছাপ মেলেনি বলে তিনি ভোট দিতে পারেননি। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেছেন। একই ঘটনা ঘটেছে সদর বেড়া গ্রামের বাচ্চু মৃধার সঙ্গে। তিনিও আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, আঙুলের ছাপ ছাড়া ইভিএমে ভোট দেওয়া সম্ভব না। এ ক্ষেত্রে তাঁর করণীয় কিছু নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলে দেখছেন বিকল্প কোনো উপায় আছে কি না। এ জন্য তিনি ওই ভোটারদের অপেক্ষা করতে বলেছেন।
সকাল ৯টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে মোট ৩২ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০৭২ জন। কেন্দ্রের বেশির ভাগ বুথে গিয়ে দেখা গেছে, ইভিএমের সঙ্গে যুক্ত কম্পিউটারের মনিটরে ভোটার সংখ্যা প্রদর্শন করছে না।
একটি বুথের পোলিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মনিটরগুলো ঠিকমতো কাজ করছে না। বিদ্যুতের স্বল্পতা রয়েছে। পাশাপাশি চার্জার ঠিকমতো ব্যাকআপ দিচ্ছে না।
এ ছাড়া সকাল থেকে নগরকান্দার রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কৃষ্ণপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বীর গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শ্রাংগাল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে সকাল থেকে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে।
রামনগর ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের অটোরিকশাচালক মো. আরিফ হোসেন বলেন, ভোট নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তেমন উৎসব নেই। এখানে প্রচারণাও খুব বেশি হয়নি। তবে ইভিএমে ভোট হওয়ায় অনেকে আগ্রহ নিয়ে ভোট দিতে আসছেন।
ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত শাহদাব আকবর ওরফে লাবুর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মো. জয়নুল আবেদীন ওরফে বকুল মিয়া।