রাজশাহীতে ভোটের মধ্যে স্বস্তির বৃষ্টি

বৃষ্টিতে ভোটার চলে গেছেন। দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী নগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বুধপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
 ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীতে সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। রোদ না থাকলেও ছিল ভ্যাপসা গরম। সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ইভিএমে কোথাও কোথাও সকাল আটটা বাজতে দেরি হওয়ায় ভোট গ্রহণ ১০ থেকে ১৭ মিনিট পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছে। এ জন্য সকাল থেকেই অধিকাংশ কেন্দ্রের সামনেই ভোটারদের সারি দাঁড়িয়ে যায়।

আজ বুধবার নগরীর ভোটে নারীদের উপস্থিতি বেশি ছিল। প্রচণ্ড গরমের কারণে অনেকেই বাড়ি থেকে হাত পাখা নিয়ে এসেছেন। সারিতে দাঁড়িয়ে পাখায় বাতাস করছিলেন। আবার কোথাও কোথাও পাখা না থাকলেও যাঁর হাতে যা ছিল তাই দিয়েই বাতাস করছিলেন।

রাজশাহী নগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ভোটকেন্দ্র রাজশাহী সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে তীব্র গরমের মধ্যে বারান্দার দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন নাজমা খাতুন। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে সাতটায় মাঠের লাইনে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এখন সকাল ১০টা বাজে। ভোটকেন্দ্রের দরজার কাছেই যেতে পারেননি। ভিড়ের মধ্যে গরমে অনেকেই হাঁসফাঁস করছিলেন।

কারও কারও হাতে কাগজ ছিল। কাগজ দিয়েই বাতাস করছিলেন। তখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে গুমোট ভাব। তখনই এক ফোঁটা এক ফোঁটা করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। বেলা ১১টায় ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে। নগরের শাহ মখদুম কলেজ কেন্দ্র থেকে তখন বের হচ্ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ জন্য সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। তখনই শুরু হলো বৃষ্টি। মাঠে দীর্ঘ সারিতে থাকা নারী ভোটাররা দৌড়ে বারান্দার ভেতরে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বারান্দার একটা দরজা খোলা পাওয়া যাচ্ছিল না। শুধু একটি দরজা দিয়ে ঢুকতে গিয়ে সবাই ভিজে একশা হয়ে যান। সেলিনা বেগম নামের একজন নারী ভিজে একাকার হয়ে গেছেন। তিনি বলেন, বৃষ্টি হয়েছে হোক। রাজশাহীর বাতাসটা ঠান্ডা হয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল ছয়টায় রাজশাহীতে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। সকাল ৯টায় আর্দ্রতা কমে দাঁড়ায় ৮৭ শতাংশে। তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ১১টায় এ অবস্থায় বৃষ্টি শুরু হয়। টানা ৪৫ মিনিটের বৃষ্টিতে রাজশাহীর বাতাস শীতল হয়।