খুলনায় বিএনপির ‘গোপন মনিটরিং সেল’, ভোট দিলেই ব্যবস্থা

বিএনপির লোগো
বিএনপির লোগো

খুলনা সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে বা ভোট দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। এদিকে নেতা-কর্মীদের প্রতি নজরদারি রাখার জন্য নগরের ৩১টি ওয়ার্ডে গোপন মনিটরিং সেল গঠন করেছে দলটি।

গতকাল শুক্রবার রাতে খুলনা বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলমের বরাত দিয়ে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতা-কর্মীদের প্রতি নজরদারি রাখার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ২১ সদস্যের গোপন মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। ভোটের দিন দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ভোট প্রদান করলে মনিটরিং সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা বিএনপির সূত্র জানায়, গত ২৯ এপ্রিল খুলনা মহানগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় খুলনা সিটি নির্বাচনে দলের কোনো নেতা-কর্মী অংশ নিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকি কোনো প্রার্থীর পক্ষে তাঁরা প্রচারণাও চালাতে পারবেন না। নির্বাচনে কারও অংশ নেওয়ার প্রমাণ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। ১ জুন কেসিসি নির্বাচনে দলের নির্দেশ অমান্য করে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় আটজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। একই কারণে গত ৩ জুন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৯ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।

৬ জুন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার–প্রচারণায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে তৃণমূল নেতাদের চিঠি পাঠায় খুলনা নগর বিএনপি। ৮ জুন বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১১ নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় খুলনা নগর বিএনপি।

নগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে বা ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রয়োগ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমরা দলের পক্ষ থেকে জাতীয়তাবাদী দলের ডাকে সাড়া দিয়ে বিএনপির সঙ্গে খুলনাবাসীকে ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছি।’