জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আমিনুল ইসলামের হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল। আজ বুধবার বিকেলে যশোর শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে
জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আমিনুল ইসলামের হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল। আজ বুধবার বিকেলে যশোর শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে

যশোরে জামায়াতের কর্মীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বিক্ষোভ

জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আমিনুল ইসলামের হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে যশোর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন দলীয় নেতা–কর্মীরা। আজ বুধবার বিকেলে শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে আইনজীবী সমিতির ১ নম্বর ভবনের সামনে ওই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়।

জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতা–কর্মী বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী ও শহরতলি আরবপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর গাজির বাজার ইউনিটের সভাপতি আমিনুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আমিনুল যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। একই সঙ্গে তিনি স্থানীয় শান্তিশৃঙ্খলা কমিটি ও বাজার কমিটির সভাপতি ছিলেন।

এ ঘটনায় স্থানীয় ছয়জনসহ অজ্ঞাতপরিচয় সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত আমিনুল ইসলামের ভাই আজাহারুল ইসলাম। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক বা ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি।

সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর নেতা–কর্মীরা বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের সময় এই শহর সন্ত্রাসীর জনপদ ছিল। ছাত্র–জনতা ফ্যাসিবাদী সরকার উৎখাত করলেও এখনো তার দোসররা রয়েছে। সেই সন্ত্রাসী দোসরদের কাছে পরিকল্পিতভাবে জামায়াতের এক কর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন। হত্যার পরও প্রশাসন হত্যাকারীদের আটক করতে পারেনি।

এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটকের সময়সীমা বেঁধে দেন বক্তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশ একযোগে কাজ করছে। এখনো কেউ আটক নেই। অগ্রগতি হলে আমরা জানাব।’

সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, ‘যশোরে গত কয়েক দিন অনেকগুলো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের কর্মী আমিনুলও হত্যার শিকার হয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলেও পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। যাঁরা নতুন করে এই সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছেন, তাঁরা নতুন করে ফ্যাসিবাদ সৃষ্টির সুযোগ করে দিচ্ছেন। নতুন করে ফ্যাসিবাদী সৃষ্টি হতে দেবে না জামায়াত ইসলাম।’

একই সঙ্গে সম্প্রতি সব হত্যাকাণ্ডে জড়িত ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান অধ্যাপক গোলাম রসুল।

সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির বেলাল হোসাইন, সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শামসুজ্জামান, মাওলানা রেজাউল করিম, অধ্যাপক শাহাবুদ্দীন বিশ্বাস, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য গাজী এনামুল হক প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নেতা–কর্মীরা শহরে মিছিল বের করেন। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে শেষ হয়।