কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির
কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির

ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের গোলাগুলি, ঘটনাস্থলেই যুবকের মৃত্যু

কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৪) দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সৈয়দ করিম (৩৭) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি ওই আশ্রয়শিবিরের বি-৫ ব্লকের বাসিন্দা। আজ বুধবার ভোর পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আশ্রয়শিবিরের এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ভোর পাঁচটার দিকে আশ্রয়শিবিরের বি-৫ ব্লকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরু হয়। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষ অন্তত ২০ থেকে ২৫টি গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির শব্দ শুনে কয়েকজন সাধারণ রোহিঙ্গা ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসেন। তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই সৈয়দ করিমের মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসেন বলেন, আশ্রয়শিবিরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এর আগে গত ১৪ জুলাই মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের এফ ব্লকে আরসার সঙ্গে এপিবিএনের গোলাগুলির ঘটনায় এপিবিএনের সদস্য পুলিশ কনস্টেবল মো. শাহরাজ (২৬) গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের ইরানি পাহাড় ফাঁড়ির দায়িত্বে ছিলেন। গুলিতে শাহবাজ ঊরু ও ডান হাতের আঙুলে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ৮ লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।