খুলনা বিএল কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন

খুলনা সরকারি বিএল কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ওই কলেজ শাখা ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন। বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে
ছবি: প্রথম আলো

অধ্যক্ষ যৌথবাহিনী ডেকে এনে অসৌজন্যমূলক আচরণ করিয়েছেন—এমন অভিযোগ তুলে খুলনা সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের অধ্যক্ষ সেখ মো. হুমায়ুন কবীরের পদত্যাগ দাবি করেছেন ওই কলেজ ছাত্রদলের নেতারা। আজ বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করে এ দাবি জানান তাঁরা। তবে অধ্যক্ষ এ অভিযোগ নাকচ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএল কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইয়াছিন গাজী। তিনি বলেন, ২০২০ সালের দিকে বিএল কলেজের খালেদা জিয়া ছাত্রীনিবাসের নামফলক ভেঙে ফেলেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার তাঁরা ওই হলের ফটকের সামনের নামফলকের স্থানে ‘বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রীনিবাস’ নামসংবলিত প্যানা টাঙাতে গেলে যৌথবাহিনী এসে তাঁদের বাধা দেয় ও তাঁদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে অবশ্য তাঁরা প্যানা লাগিয়েছেন।

ইয়াছিন গাজী দাবি করেন, প্যানা লাগানোর জন্য আগের দিন অধ্যক্ষে অনুমতি নিয়েছিলেন। কিন্তু যখন তাঁরা প্যানা লাগাতে যান, তার ঠিক ১০ মিনিটের মধ্যেই সেখানে যৌথবাহিনী চলে আসে। অধ্যক্ষ ফোন করে যৌথবাহিনী ডেকে এনে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের আটকের অপচেষ্টা করেছেন। এ কারণেই তাঁরা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করছেন।

তবে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার অধ্যক্ষের সঙ্গে বিএল কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দেখা করে ৩০ শতাংশ রাজনৈতিক কোটায় ছাত্রবাসে সিট বরাদ্দ দেওয়ার দাবি করেন। অধ্যক্ষ তা দিতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রদলের নেতারা ক্ষুব্ধ হন। পরে প্যানা লাগানোর সময় যৌথবাহিনী এসে বাধা দিলে এ ঘটনাকে অধ্যক্ষের ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদল।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুলনা সরকারি বিএল কলেজের অধ্যক্ষ সেখ মো. হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ৫ আগস্টের পর কলেজ ও ছাত্রাবাসের অনেক মালামাল লুট হয়েছে। এর পাশাপাশি মাদকের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছিল কলেজ ক্যাম্পাস। তিনি অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব জায়গায় কঠোর অবস্থান নেন। এ কারণেই কেউ কেউ তাঁর ওপর অখুশি আছেন।

অধ্যক্ষ দাবি করেন, খালেদা জিয়া ছাত্রীনিবাসে নাম লাগানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। গতকাল ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা যখন প্যানা লাগাতে যান, তখন যৌথবাহিনী কলেজের মধ্যে প্রবেশ করে। হলের সামনে জটলা দেখে সেখানে যায়। যৌথবাহিনীকে ফোন করে ডেকে আনা বা প্যানা টানাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।