রান্নাঘর থেকে গিয়ে ছিনতাইকারীর পথ আটকে দাঁড়িয়েছি

নিপা রানী সাহা: কিসের ভয়। কোনো ভয় লাগেনি।

নিপা রানী সাহা: তখন কেন জানি মনে অনেক সাহস এসে গিয়েছিল। এ ছাড়া আমি বাইরে এসে দেখি, রাস্তায় আরও কয়েকজন আছেন। সে কারণে ভয় লাগেনি। আমাকে আঘাত করতে পারে, সেই চিন্তা তখন মাথায় আসেনি।

নিপা রানী সাহা: তখন আমি রান্না করছিলাম।

নিপা রানী সাহা: হ্যাঁ।

নিপা রানী সাহা: শুরুতে ঘটনা কী ঘটেছিল, তা আমি দেখিনি। পরে শুনেছি আমাদের পাড়ার রিতা বউদি (রিতা নন্দন) বাসা থেকে বের হয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন ছিনতাইকারী তাঁর গলার হার ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দেয়।

নিপা রানী সাহা: হ্যাঁ। রিতা বৌদি ধর ধর বলে চিৎকার করছিলেন।

নিপা রানী সাহা: ছিনতাইকারী দৌড়াচ্ছে। আর রিতা বউদি চিৎকার করছেন। বলছিলেন তাঁর ‘হার নিয়ে গেল’, ‘হার নিয়ে গেল’। শুনে আমার মনে হলো, আবারও পাড়ার মধ্যে ছিনতাইকারী ঢুকেছে।

নিপা রানী সাহা: আমি ছিনতাইকারীর পথ রোধ করে দাঁড়ালাম। তখন রাস্তার অপর দিকে থেকে একটি মোটরসাইকেল আসছিল। ছিনতাইকারী ভয় পেয়ে পা ফসকে নালার মধ্যে পড়ে যায়। তখন আমিও নালার সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতে থাকি।

নিপা রানী সাহা: আমার চিৎকার শুনে পাড়ার মহিলারাসহ আরও অনেকে এগিয়ে আসেন। তখন ছিনতাইকারী ভয়ে হারটি ফেলে দেয়। আমিই হারটি তুলে নিই।

নিপা রানী সাহা: ভালো লেগেছে। কারণ, একজন যেহেতু ধরা পড়েছে, সেহেতু ছিনতাই কমবে আশা করা যায়।

নিপা রানী সাহা: তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

নিপা রানী সাহা: হ্যাঁ। কখনো মোটরসাইকেলে এসে, কখনো চলতি পথে মহিলাদের গয়না ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। মানুষ অতিষ্ঠ।

নিপা রানী সাহা: আমার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও সন্তান।

নিপা রানী সাহা: অবশ্যই ভুক্তভোগীর সহায়তায় এগিয়ে যাব। আমার সাহস আরও বেড়ে গেছে। আমাদের পাড়ার মহিলারাও বলেছেন, সুযোগ পেলে তাঁরাও প্রতিরোধ করবেন।