কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, ভোটাধিকার চায়। শেখ হাসিনার এই রকম ন্যক্কারজনক পতনের প্রধান কারণ, তিনি মানুষের ভোটাধিকারকে সম্মান করেননি। পরপর কয়েকবার মানুষকে সঠিকভাবে ভোট দিতে দেননি। এর ফল এটা হয়েছে। দীর্ঘ সময় মানুষকে ভোটাধিকার ছাড়া রাখলে এখন যারা আছে, তাদের পরিণতিও খুব ভালো হবে না। এটা আমার বিশ্বাস।’
আজ রোববার সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।
বর্তমান সরকারকে নিয়ে অনেক আশা থাকলেও গত তিন মাসে তেমন ফল পাননি বলে মনে করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে একটা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অতীতকে বর্জন করে, অস্বীকার করে, এই পরিবর্তন যদি কেউ করতে চায়; তাহলে তারা আহাম্মকের স্বর্গেই বাস করছে। দুদিন পরে তাদেরও এ রকম হবে। মানুষ খুব আশা করেছিল, কিন্তু গত তিন মাসে মানুষের আশার মতো ফল পাই নাই। সাধারণ মানুষের যে উপার্জন, তারা বাজারে যেতে পারছে না, স্ত্রী-পুত্র পরিবার নিয়ে খেতে পারছে না ভালোভাবে।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যে মানুষটির (মওলানা ভাসানী) জন্ম না হলে আমরা আজকে বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না। যে মাওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে পাকিস্তান হতো না, পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না, বাংলাদেশ না হলে আজকে আমাদের এই অবস্থা হতো না; তাঁর অনাদর দেখে খুব কষ্ট লাগে, খুব খারাপ লাগে।’
যাঁরা বর্তমান সরকার চালাচ্ছেন, তাঁরা যেন দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করেন, সে অনুরোধ করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা কারও জন্য চিরস্থায়ী নয়। যাঁরা ছিলেন, তাঁদের জন্য যেমন নয়, আজকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের জন্যও চিরস্থায়ী নয়। এ জন্য দেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন। দেশের মানুষকে সম্মান করুন। অতীতকে সম্মান করুন। যাঁদের এই দেশের জন্য অবদান আছে, তাঁদের যথাযথ যোগ্য সম্মান দিয়ে রাষ্ট্র চালাবার চেষ্টা করুন।’
এ সময় কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।