ঘাঘট বাদে সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। আজ রোববার দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে
ঘাঘট বাদে সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। আজ রোববার দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কড়ইবাড়ি এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে

গাইবান্ধায় আবার বাড়ছে নদ-নদীর পানি

থেমে থেমে বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলে গাইবান্ধায় ঘাঘট বাদে সব নদ-নদীর পানি আবারও বেড়েছে। আজ রোববার বেলা ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদ, তিস্তা ও করতোয়ার নদীর পানি বেড়েছে। তবে সব নদ–নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিছুদিন আগেও গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার, করতোয়া নদীর পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসংলগ্ন কাউনিয়া পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। একই সময়ে ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে।

আজ বেলা ১২টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ১৯৬ সেন্টিমিটার, ঘাঘটের পানি ১৯৯ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি ৩৬০ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক মুঠোফোনে বলেন, উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেড়েছে। তবে সব নদ–নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পানি বাড়ার কারণে নদীতীরবর্তী গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর, ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও কঞ্চিপাড়া এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।