ফেসবুকে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগে বরগুনার বেতাগী পৌরসভার কাউন্সিলর আবদুল মন্নান হাওলাদারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। পৌরসভার প্যানেল মেয়র কামাল হোসেন গত মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. গোলাম ফারুক। মামলার একমাত্র আসামি আবদুল মন্নান হাওলাদার বেতাগী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
আজ শনিবার দুপুরে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বশির আলম প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের নির্দেশে গতকাল শুক্রবার মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা হবে।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, সম্প্রতি নিজের ফেসবুক আইডি থেকে বেতাগী পৌরসভার প্যানেল মেয়র কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে একটি স্ট্যাটাস দেন কাউন্সিলর আবদুল মন্নান। সেখানে মন্নান লেখেন, ‘সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বেতাগী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নামে প্রতিবন্ধী ধর্ষণের মামলাটির অগ্রগতি কী হলো এবং কী অবস্থায় আছে এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ জানতে চায়?’ কাউন্সিলর মন্নানের এমন স্ট্যাটাস প্যানেল মেয়র কামাল হোসেনের সমর্থক, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা দেখতে পেয়ে তাঁকে জানান। ১৬ জুলাই তিনি বেতাগী থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ তাঁকে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী তিনি বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন।
কামাল হোসেন বলেন, ‘কাউন্সিলর আবদুল মন্নান ফেসবুকে তার স্ট্যাটাসে যে ধর্ষণ মামলার কথা উল্লেখ করেছে, আমি ওই মামলার সঙ্গে জড়িত নই। সে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে ফেসবুকে মিথ্যা কুরুচিপূর্ণ মানহানিমূলক স্ট্যাটাস দিয়েছে। তার এসব স্ট্যাটাসে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার অনুসারীরা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এতে আমার ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
আবদুল মন্নান হাওলাদারের মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।