নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ১ হাজার ২০০ মানুষকে ভূরিভোজ করানোর ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তিনি এ ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌহিদ চাকলাদারকে চিঠি দিয়ে কেন তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তৌহিদ চাকলাদার যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই।
যশোর জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুর রশিদ বলেন, ‘ভূরিভোজের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে আমরা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পাই। এরপর তৌহিদ চাকলাদারকে শোকজ (কারণ দর্শানো নোটিশ) করা হয়। এ বিষয়ে প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদার বুধবার সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত জবাব দিয়েছেন। প্রথমবারের মতো ভুল করার জন্য তিনি লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।’
আবদুর রশিদ আরও বলেন, ভূরিভোজ অনুষ্ঠানে তৌহিদ চাকলাদার ছাড়া আরও দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তাঁরা সার্বিকভাবে বিবেচনা করে দেখেছেন, বাকি দুই প্রার্থী থাকলেও মূলত চেয়ারম্যান প্রার্থীর জন্য ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। তাই শুধু তৌহিদ চাকলাদারকেই কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, লিখিত বক্তব্যে তৌহিদ চাকলাদার বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ার মতো কোনো নির্বাচনী সমাবেশ তিনি করেননি। তারপরও যদি বিষয়টিকে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে মনে হয়, তাহলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ক্ষমা চাইছেন।
প্রসঙ্গত, চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ চাকলাদারের পক্ষে সোমবার বেলা তিনটার দিকে সদর উপজেলার চূড়ামনকাটি বাজার–সংলগ্ন মেহগনিবাগানে এ ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। চূড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান এ আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে ২৯ মে সদর উপজেলা নির্বাচনে তৌহিদ চাকলাদারসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াই করা দুজনকে বিজয়ী করতে নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন শাহীন চাকলাদার।