লালমনিরহাটের পাটগ্রাম

৪ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল 

সড়কটি দিয়ে ৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৬০ হাজার মানুষ উপজেলা সদরে চলাচল করে। 

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের উকনিরপাড় গ্রামে সড়কের এক পাশ ভেঙে দেবে গেছে
ছবি: প্রথম আলো

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম-বুড়িমারী স্থলবন্দর আঞ্চলিক সড়কের চার কিলোমিটার অংশ বেহাল। পাটগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিলারবাজার থেকে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কাউয়ামারী ধরলা সেতু পর্যন্ত সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচঢালাই উঠে গেছে। খানাখন্দের কারণে হেলেদুলে চলে গাড়ি।

অথচ সড়কটি দিয়ে ৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় ৬০ হাজার মানুষ উপজেলা সদরে চলাচল করে। বেহাল সড়কের জন্য প্রতিনিয়ত তারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের পিচঢালাই উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। সড়কজুড়ে অসংখ্য খানাখন্দ। সড়কের দুই পাশে ঢালু হয়ে গেছে। পাশাপাশি দুই গাড়ি যেতে পারছে না। উকনিলপাড় ও মাঝিপাড়া গ্রামে দুটি সেতুতে ওঠার মুখেও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ বেহাল সড়ক দিয়ে মাইক্রোবাস, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ভ্যান, রিকশা চলাচল করছে। গাড়ি গর্তে পড়লে যাত্রীরা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি খান। অন্যদিকে হেলেদুলে চলছে গাড়ি। 

উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কাউয়ামারী গ্রামের কৃষক বাঘা মিয়া বলেন, তাঁদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলা সদরের হাটবাজারের নিতে হয়। কিন্তু এই ভাঙাচোরা এ সড়কের কারণে ভ্যানচালকেরা যেতে চান না। কেউ রাজি হলেও এ জন্য অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাঁদের। 

ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত ভ্যানচালক সহিদুল ইসলাম বলেন, ভাঙাচোরা সড়কের কারণে প্রায় তাঁর ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য বেশি মাল নেওয়া যায় না। পেটে দায়ে বাধ্য হয়ে ভাঙাচোরা এ সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পাটগ্রাম উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাটগ্রাম সদর-বুড়িমারী স্থলবন্দর আঞ্চলিক সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার, প্রস্থ ১০ ফুট। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাউয়ামারী বাজার থেকে চিলার বাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কটি নির্মাণ করা হয়। ২০২২ সালের দিকে ওই সড়কের ওপর ২৮৪ মিটার দৈর্ঘ্যের পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ  করা হয়। এ সেতু দিয়ে উপজেলা সদর ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। ফলে আঞ্চলিক সড়কটি বর্তমানে সদর-বুড়িমারী স্থলবন্দর বাইপাস (বিকল্প) হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই যানবাহনের চাপও বেড়েছে।

শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল আসলাম প্রধান বলেন, তাঁরা বিভিন্ন সভায় সড়কটি সংস্কারের জন্য বলেছেন।

এলজিইডির পাটগ্রাম উপজেলা প্রকৌশলী মাহাবুব-উল আলম জানান, সড়কটির প্রস্থ বাড়িয়ে ১৮ ফুট করা হবে। তখন সড়কটি নতুন করে নির্মাণ করা হবে। প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।