ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর সামনে গ্যাসের অপেক্ষায় গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। গাড়ির লাইন ফিলিং স্টেশন ছাড়িয়ে মহাসড়কে চলে এসেছে। এতে মহাসড়কে দেখা দিয়েছে যানজট। আজ শুক্রবার সকালেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে ঘর থেকে বের হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
আজ সকাল থেকে সীতাকুণ্ডের পৌর সদরে তিনটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে অন্তত তিন কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্যাস পাওয়ার জন্য অনেকেই ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। চালকদের অনেকের পূর্বনির্ধারিত ভাড়া ছিল। তাঁরা চিন্তায় রয়েছেন সময়মতো যাত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারবেন কি না। ৩-৮ ঘণ্টা অপেক্ষার পর গ্যাস মিলছে বলে জানান চালকেরা।
মহাসড়কের পূর্ব পাশে মোস্তফা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে কথা হয় মাইক্রোবাসের চালক মো. রাসেলের সঙ্গে। তিনি মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাটের বাসিন্দা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, সারা দেশে গ্যাসের সংকট চলছে। বিষয়টি তিনি আগে থেকে জানতেন। তাঁর আজ বিকেলের দিকে একটি ভাড়া ঠিক করা ছিল। তাই খুব ভোরে বারৈয়ারহাট থেকে গিয়ে মিরসরাইয়ের সুফিয়া রোডের একটা পাম্প থেকে কিছুটা গ্যাস নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে গ্যাসের চাপ কম ছিল বিধায় তিনি আসেন সীতাকুণ্ডে। এসে দেখেন গাড়ির দীর্ঘ সারি। সকাল ৮টায় লাইন ধরে ১১টার দিকে তিনি গ্যাস পান।
মোস্তফা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক ইয়াকুব বাহার প্রথম আলোকে বলেন, গত পরশু এলএনজি টার্মিনালের পাইপ লাইন ফেটে গেছে। ফলে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। পর্যাপ্ত গ্যাস দিতে পারছেন না তাঁরা। তবে দু–এক দিনের মধ্যে সেটা সমাধান হবে বলে আশা তাঁর।
এদিকে গ্যাসের অপেক্ষায় গাড়ির লাইনের কারণে মহাসড়কে দেখা দিয়ে যানজট। এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর বলেন, গ্যাসের জন্য গাড়ির দীর্ঘ লাইন হওয়ায় ওই সকল এলাকায় মহাসড়কে যানবাহন কিছুটা ধীরে চলছে। তবে হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছে।