কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের সাত বছর পর অবশেষে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচজন আসামির উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীসহ ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন।
এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামলার পাঁচ আসামি জেএমবির শীর্ষ সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী ওরফে সুভাস ওরফে জাহিদ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, মো. সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল ওরফে নুরুল্লাহ, জাহেদুল হক ওরফে তানিম ও আনোয়ারকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্যদের উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।
শোলাকিয়া জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলাটি বর্তমানে সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে বিচারাধীন। ২০১৬ সালের ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের অদূরে ঈদের নামাজের আগমুহূর্তে আজিমউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে পুলিশের নিরাপত্তাচৌকিতে গ্রেনেড হামলা করেন জঙ্গিরা। হামলায় দুই পুলিশ সদস্য ও এক গৃহবধূ নিহত হন। পরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক জঙ্গি মারা যান।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালন করা পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বাদী হয়ে জঙ্গি শফিউল ইসলাম, জাহিদুল হক তানিমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। ২৪ জন আসামির মধ্যে বিভিন্ন সময় বন্দুকযুদ্ধে ১৯ জন মারা গেছেন।
মারা যাওয়া আসামিদের বাদ দিয়ে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আদালতে পাঁচজনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। কিন্তু সব আসামিকে একসঙ্গে আদালতে হাজির করতে না পারায় দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছিল না।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবু নাসের মো. ফারুক বলেন, ‘ঘটনার সাত বছর পরও সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি। দ্রুত মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হবে। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবে।’