বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখলসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কক্সবাজার পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহাব উদ্দিন সিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী।
গতকাল রোববার রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই তাঁকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। সাহাব উদ্দিন পৌরসভার আলীরজাহাল এলাকার মো. হোছাইনের ছেলে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে তিনি আত্মগোপন করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজুল আজিম নোমান আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, কাউন্সিলর সাহাব উদ্দিনের নামে হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, অর্থ আত্মসাৎসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কতটি মামলা আছে, তার তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এরপর তাঁকে আদালতে হস্তান্তর করা হবে। প্রয়োজনে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত সাহাব উদ্দিন সদর মডেল থানায় পুলিশের হেফাজতে আছেন।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫ আগস্টের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। ৫ আগস্টের পর তাঁর (সাহাব উদ্দিন) ছোট ভাই ইমরান সিকদারের ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। ইমরান সিকদার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
যৌথ বাহিনীর সূত্র জানায়, অভিযানের সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা সাহাব উদ্দিনের দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালান। তল্লাশিতে তাঁর বাড়িতে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র অথবা অবৈধ দ্রব্যের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে কাউন্সিলর সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভূমি দখল, অর্থ আত্মসাৎসহ শতাধিক অভিযোগ রয়েছে।
সাহাব উদ্দিন সিকদারকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে রাতে শতাধিক লোক থানায় ছুটে আসেন। তাঁরা কাউন্সিলরের বিচারের দাবি করেন। সাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর এলাকার লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।