খুলনায় বিএনপির সুধীসমাবেশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দলটির অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরের পিপলস গোল চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি ও যুবদলের চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটির নগর কমিটি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় নগরের খালিশপুর পিপলস গোল চত্বরে ৮ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যৌথ আয়োজনে সুধীসমাবেশটি শুরু হয়। এ সময় বক্তব্য দিচ্ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন। ওই সময় যুবদল নেতা সরোয়ার হোসেন সমর্থকদের মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে পৌঁছান। তিনি নিজের নাম মাইকে প্রচার করার জন্য বারবার চিৎকার করছিলেন। তাঁকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে যুবদলের আরেক নেতা নাজমুল হক বাবু ও তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উভয় পক্ষই চেয়ার ও লাঠি নিয়ে একে-অপরের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনার পরপরই সমাবেশ পণ্ড হয়।
এ বিষয়ে খালিশপুর থানা বিএনপির সদস্যসচিব হাবিব বিশ্বাস বলেন, ‘সমাবেশের মঞ্চে ওঠা নিয়ে কিছুটা হাতাহাতি হয়েছে। এ সময় কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন।’
এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি বলে জানান খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম। তিনি গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি এখন শান্ত।’
এদিকে ওই ঘটনার পরপর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে বিএনপি ও যুবদলের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন খুলনা নগর বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খালিশপুর থানার অন্তর্গত ৮ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির সুধীসমাবেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলের নীতি-আদর্শপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন, যুবদল নেতা নাজমুল হোসেন বাবু, মাসুদ হোসেন ও ফকির শহিদুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে খুলনার নগর বিএনপি। মিজানুর রহমান জানান, এই তদন্ত কমিটি তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে।