মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাঠের স্তূপে আগুন, ৫ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি

মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাঠের স্তূপে লাগা আগুন ছড়িয়ে পড়ে আজ দুপুর দুইটার দিকে
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভেতরে ভাঙা কাঠের স্তূপে আগুন লেগেছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের পূর্ব পাশে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বিকেল সোয়া চারটা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেখানে মহেশখালী ও পেকুয়ার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) সূত্র জানায়, প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের ভেতরে কাজ করার সময় বিভিন্ন সাইট থেকে ভাঙা কাঠগুলো সরিয়ে নিয়ে পূর্ব দিকে খোলা জায়গায় স্তূপ করে রাখা হয়। এ ছাড়া ভাঙা কাঠের পাশাপাশি লোহার স্ক্র্যাপ, ভাঙা টিনসহ বিভিন্ন ব্যবহার অনুপযোগী মালামাল সেখানে স্তূপ করে রাখা হয়। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ ভাঙা কাঠের স্তূপে আগুন লাগে। একপর্যায়ে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ সময় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কয়েক শ শ্রমিক তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। পরে মহেশখালী ও পেকুয়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

একপর্যায়ে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ওই স্তূপে অন্তত ১৫০ টনের মতো কাঠ আছে

বিকেল সোয়া চারটার দিকে কোল পাওয়ারের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আলফাজ উদ্দীন প্রথম আলোকে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগবে।

কোল পাওয়ারের মাতারবাড়ী সাইটে দায়িত্বরত তত্ত্বাবধায়ক (প্রকৌশলী) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভেতরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বসানো বিভিন্ন যন্ত্রপাতি থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকে খোলা জায়গায় ভাঙা কাঠগুলো স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। এই কারণে এই অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পায় তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। ফলে এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কোনো ক্ষতি হবে না। ওই স্তূপে অন্তত ১৫০ টনের মতো কাঠ আছে বলে জানান মনোয়ার হোসেন।