কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘জিয়া ভাই (বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান), উনি মুক্তিযোদ্ধা না, এ কথা বললে আমি মেনে নেব না। কিন্তু আওয়ামী লীগের অনেকেই বলেন, উনি বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছেন, খুনে সহযোগিতা করেছেন অথবা জানতেন—এগুলো মুখে না বলার চাইতে মামলা দিয়ে সাক্ষী-প্রমাণ দিয়ে উনাকে মরণোত্তর ফাঁসি দেন, তাতেও আপত্তি নেই। কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধাই না, পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন—এসব কথা বলে মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করা ভালো না।’
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শালগ্রামপুর বাজারে দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমি ওই ভোটে দাঁড়াব না, যে ভোটে ভোটাররা ভোট দিতে পারবে না। ভোটাররা যখন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে, আমি ওই ভোটেই দাঁড়াব। এটা আমার বোনকেও (প্রধানমন্ত্রী) বলেছি।’
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপির ভাইয়েরা একটি হাওয়া ভবন বানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা একবারও বলেননি, হাওয়া ভবন বানানো ভুল ছিল, অন্যায় হয়েছে, ক্ষমা চাই। ওনারা খুব জনপ্রিয়, যেন ওনারা আগামী সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী হবেন। ইয়াহিয়া খানও চেয়েছিলেন, এ দেশের মানুষ চাই না, মাটি চাই। তিনিও কিন্তু মাটি পাননি।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘নৌকাওয়ালারা একটু সাবধান হোন, মানুষকে সম্মান করার চেষ্টা করেন। মনে রাখবেন, গাঁজার নৌকা পাহাড় দিয়ে চলে, ভালো নৌকা পানি ছাড়া চলে না।’
দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতীক, কাদের সিদ্দিকীর সহোদর শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সালেক হিটলু, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন, যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুন্নবী সোহেল, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।