বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে, এখন কাজ করার পালা। দেশকে গড়তে হবে, পুনর্গঠন করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণের আস্থা, আশা রক্ষা করাই এখন আমাদের বড় কাজ। বিএনপির কর্মী হিসেবে আপনি মানুষের কাছ থেকে যে সম্মান পান, সেটাকে ধরে রাখতে হবে।’
‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ বিষয়ে বরিশাল ও রংপুর বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন তারেক রহমান। বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি ও রংপুর জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে রোববার বিকেলে কর্মশালায় বরিশাল ও রংপুর বিভাগের বিএনপির নেতা-কর্মীরা যোগ দেন। বরিশালের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জাবিউল্লাহ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, মজিবর রহমান সরোয়ার, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক প্রমুখ।
রংপুরে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব। প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মওদুদ আলমগীর। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সুলতান সালাউদ্দিন, শারমীন টুটুল প্রমুখ।
কর্মশালায় তারেক রহমান বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, জনগণ আপনাদের কোন আচরণ পছন্দ করে, কোনটা পছন্দ করে না—সেটা বুঝে কাজ করতে হবে। জনগণ পছন্দ করে না, এমন আচরণ থেকে আপনাদের বিরত থাকতে হবে। কারণ, বিএনপি বিশ্বাস করে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণের আস্থা অর্জন করে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আপনাদের তা প্রমাণ করতে হবে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের পুঁজি হচ্ছে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস, ভালোবাসা। আপনি যদি অন্য কিছুকে পুঁজি ভাবেন, অন্য কিছুতে মনোনিবেশ করেন, তাহলে আজ, কাল, পরশু আপনার সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সবকিছু ধ্বংস করেছে। জোর করে ক্ষমতায় টিকে ছিল। মানুষের অধিকারকে হরণ করেছিল। আজ কি তাঁরা ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে? পারেনি। তাই আপনারা জনগণের আস্থা ধরে রাখতে কাজ করবেন।’
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি একা নয়, সব রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষ একত্র হয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে। যেভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে, তেমনি দেশকে পুনর্গঠন করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ জন্য বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলেছে। এ ক্ষেত্রে বৃহৎ দল হিসেবে বিএনপিকে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে।
সংসদের উচ্চকক্ষের বিষয়ে তারেক বলেন, দেশে অনেক গুণী-জ্ঞানী ব্যক্তিরা আছেন, যাঁরা রাজনীতিতে জড়িত নন, রাজনীতিতে জড়াতেও চান না। কিন্তু দেশকে এগিয়ে নিতে তাঁরা তাঁদের মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে চান। হতে পারেন তিনি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক—যেকোনো বুদ্ধিজীবী। তাঁদের যাতে উচ্চকক্ষে রাখা যায়, তাঁরা যাতে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে পারেন, সে জন্যই বিএনপি এই ব্যবস্থার কথা বলছে।’