মামলা
মামলা

সাতক্ষীরায় তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর পায়ে গুলি, ১০ বছর পর মামলা

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর পায়ে গুলি ও দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগের ঘটনার সাড়ে ১০ বছর পর তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৪৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দেবহাটা আমলি আদালতে ভুক্তভোগী আব্দুর রউফ বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালতের বিচারক মহিদুল হাসান আবেদনটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দেবহাটা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। আইনজীবী আব্দুস সামাদ মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

গুলিতে পা হারানো আব্দুর রউফ দেবহাটার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের আব্দুল মাজেদ মোল্লার ছেলে। মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন দেবহাটা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, কালীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন, সাতক্ষীরার তৎকালীন এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, সদর সার্কেলের এএসপি কাজী মনিরুজ্জামান, কালীগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মো. মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানার ওসি তারক চন্দ্র বিশ্বাস, কালীগঞ্জের নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন পাড়, তাঁর ভাই শহীদুল ইসলাম, পূর্ব নারায়ণপুরের ব্যবসায়ী বরুন ঘোষ, সাদপুর গ্রামের প্রদীপ ঘোষ প্রমুখ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে বাদী নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় আসামি মুজিবুর রহমান ও চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীরের নির্দেশে পুলিশ ও অন্য আসামিরা তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হাত ও পা বেঁধে নির্যাতন করেন। তাঁর দোকানঘর ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে পুলিশের পিকআপে করে সখীপুর কলেজ মাঠে নিয়ে যান। এ সময় উপপরিদর্শক বসিরউদ্দিন ও জিয়াউল হক তাঁর ডান হাঁটুতে দুবার গুলি করেন। পরে মৃতপ্রায় অবস্থায় তাঁকে দেবহাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ও ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর ডান পা কেটে বাদ দিতে হয়। এরপর উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে পুলিশ, যা এখনো বিচারাধীন। ওই মামলায় তিনি ছয় মাসের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন।