ঈগল ভেবে জীবন্ত শকুন নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ খানের সমর্থকেরা। খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন বিরল প্রাণীটি উদ্ধার করেন। বর্তমানে অসুস্থ শকুনটি সুস্থ হলে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত রোববার সন্ধ্যায় বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের মকার হাওরে এলাকাবাসীর হাতে বিরল প্রজাতির শুকুনটি ধরা পড়ে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে পাখিটি দেখতে অসংখ্য উৎসুক জনতা ভিড় করেন। সেটিকে নিয়ে উপজেলা সদরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন হবিগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ খানের সমর্থকেরা। নির্বাচনে ঈগল প্রতীক পান আওয়ামী লীগের এ স্বতন্ত্র প্রার্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে অনেকে পোস্ট করেন। পরে জেলা বন বিভাগ কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাঁরা শকুনটি উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ খান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি এ প্রাণী নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে থাকেন, সেটা তিনি নিজ দায়িত্বে করেছেন। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
হবিগঞ্জ বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, এটি হিমালয় থেকে আসা বিরল প্রজাতির একটি শকুন। পাখিটি বর্তমানে অসুস্থ, সম্পূর্ণ সুস্থ হলে অবমুক্ত করা হবে। এ বন কর্মকর্তা আরও জানান, প্রায় বিলুপ্ত হতে চলা প্রাণী শকুন। বাংলাদেশে শকুনের উপস্থিতি খুবই কম। আইইউসিএনের হিসেবে বাংলাদেশে মাত্র ২৬৮টি শকুন রয়েছে।