স্যুটকেস খুলতেই পাওয়া গেল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির লাশ। শনিবার সকালে ফরিদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডে
স্যুটকেস খুলতেই পাওয়া গেল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির লাশ। শনিবার সকালে ফরিদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডে

স্যুটকেসে পাওয়া লাশের পরিচয় শনাক্তের দাবি পুলিশের, বিস্তারিত জানাল না

ফরিদপুর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডের একটি কাউন্টারের সামনে স্যুটকেসের ভেতরে পাওয়া লাশের পরিচয় শনাক্ত এবং হত্যার বিস্তারিত জানার দাবি করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে ফরিদপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এমনটা জানানো হয়। তবে পুলিশ নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি। হত্যার রহস্য উন্মোচনের বিষয়েও কোনো তথ্য দেয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আজ কিংবা কাল এই ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।

গত শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ডে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টারের সামনে তালা ভেঙে স্যুটকেসের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। সেখানে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী স্যুটকেসটি রেখে গিয়েছিলেন।

বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোরে রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ের দিক থেকে মাহিন্দ্রা গাড়িতে করে বোরকা পরিহিত এক নারী ফরিদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডে ওই বৈদ্যুতিক খুঁটির সামনে আসেন। মাহিন্দ্রা থেকে স্যুটকেসটি নামিয়ে তিনি চলে যান। এতে তাঁকে সহযোগিতা করেন একই মাহিন্দ্রায় আসা তিন থেকে চার ব্যক্তি। দীর্ঘ সময় ওই নারী ফিরে না আসায় বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিকদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে তালা ভেঙে স্যুটকেস খুলে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ মোড়ানো অবস্থায় পায়।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেছিলেন, নিহত ব্যক্তির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।