লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গিহাট সীমান্তে ভারতের ভেতরে ডোরাডাবরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণের নাম আবুল কালাম (২৪)। তিনি শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া (ইসলামপুর) গ্রামের মৃত অফির উদ্দিনের ছেলে।
স্বজন ও স্থানীয় থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালঙ্গির (পকেট) গ্রাম সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব-পিলারের পাশ দিয়ে আবুল কালামসহ কয়েকজন বাংলাদেশি গরুসহ বিভিন্ন মালামাল আনতে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভারতের জামালদহ থানার ডোরাডাবরী গ্রামে যান। আজ ভোরে ফেরার সময় ভারতের কোচবিহার জেলার ১৬৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ডোরাডাবরী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যদের মুখোমুখি হন তাঁরা। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়েন। এতে আবুল কালাম গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে আবুল কালামের সঙ্গীরা তাঁর লাশ সেখান থেকে নিয়ে গ্রামে ফেরেন। খবর পেয়ে পাটগ্রাম থানা-পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে ৬১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের ঝালঙ্গি কাম্পের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শাহীনুর রহমান বলেন, নিহত তরুণের বুকের ডান পাশে গুলির চিহ্ন আছে। দেখে মনে হয়েছে, বুকে ভেদ করে গুলি বাইরে বের হয়ে গেছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহত তরুণের মা মমতা বেগম বলেন, আবুল কালাম এখনো বিয়ে করেনি। এবার বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাঁকে গুলি করে হত্যা করল। তিনি এই হত্যার বিচার চান।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাইদ বলেন, বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালামের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।