বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাগেরহাটে ঈদের প্রধান জামাত। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় তোলা ছবি
বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাগেরহাটে ঈদের প্রধান জামাত। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় তোলা ছবি

ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতে উপচে পড়া ভিড়

প্রতিবছরের মতো এবারও বাগেরহাটে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটায় ঐতিহাসিক এই মসজিদে শুরু হয় জামাত। একসঙ্গে পাঁচ সহস্রাধিক মুসল্লি এই জামায়াতে অংশ নেন। সকাল আটটা ও সাড়ে আটটায় আরও দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে।

ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামায়াতে ইমামতি করেন বাগেরহাট আলিয়া (কামিল) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ। ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা হয়।

এদিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত এই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে ভোর থেকেই জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। মুসল্লিদের আধিক্যের কারণে মূল মসজিদ ভবনের বাইরেও দুটি প্যান্ডেল করা হয়। বিপুলসংখ্যক মুসল্লি এক সঙ্গে ঈদের জামাত আদায় করেন। সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও র‌্যাবের সদস্যরা ছিলেন দায়িত্বে তৎপর।

জেলা ফকিরহাট উপজেলা থেকে আসা মাওলানা রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘ষাটগম্বুজ মসজিদ আসলে আমাদের একটি আবেগের জায়গা। এখানে নামাজ পড়তে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। এখানে ব্যবস্থাপনাও ছিল খুব ভালো।’

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সাজেদুল রহমান প্রথমবারের মতো ঈদের নামাজ আদায় করেন ষাটগম্বুজ মসজিদে। তিনি বলেন, ‘আমার শ্বশুরবাড়ি বাগেরহাটে। এবার এখানে ঈদ করায় ষাটগম্বুজে এলাম ঈদের নামাজে। এত মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

ষাটগম্বুজ মসজিদে তিনটি জামাতে প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন বলে জানিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। বাগেরহাটে জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, ‘মুসল্লিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নামাজ আদায় করেছেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও প্রত্নতত্ত্ব অধিপ্তরের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। সব মিলিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেছি।’