গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার

বগুড়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগের ঝন্টু ও তাঁর দুই সহযোগী গ্রেপ্তার

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার যুবলীগ কর্মী ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ঝন্টু প্রামাণিক (৪১) ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বগুড়া শহরের ফুলতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঝন্টু প্রামাণিক উপজেলার ফুলতলা এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত শুকুর আলীর ছেলে। তাঁর বড় দুই ভাই সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১২টি মামলা রয়েছে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম প্রথম আলোকে গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া বগুড়া সদর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঝন্টু প্রামাণিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী ও ফুলতলা এলাকার সোলায়মান আলীর ছেলে মানিক (২৬) এবং তাঁর ভাগনে শাজাহানপুর উপজেলার চকতানপাড়ার বাকিরুল ইসলামের ছেলে বাপ্পী (২৫)। তাঁরাও একাধিক মামলার আসামি।

থানা-পুলিশের একটি সূত্র দাবি করেছে, পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ঝন্টু প্রামাণিকের পরিবার দীর্ঘ দুই যুগ ধরে ফুলতলাকেন্দ্রিক একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাহিন বাহিনীর হাতে ১৯৯৯ সালের দিকে খুন হন যুবলীগের কর্মী ঝন্টুর বাবা শুকুর আলী প্রামাণিক। ২০১১ সালের ২৪ মে প্রতিপক্ষের হাতে শাহিন বাহিনীর প্রধান খুন হন। শাহিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন যুবলীগ নেতা মজনু প্রামাণিক।

২০১৩ সালের ২৭ মে জায়গা দখলের টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন সভাপতি আবু জাফর সিদ্দিকের বাসায় জেলা যুবলীগের সদস্য মজনু মিয়া ও তাঁর ভাতিজা নাহিদ হাসান খুন হন। ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ফুলতলা এলাকায় শাহিন বাহিনীর হামলায় খুন হন ঝন্টুর আরেক ভাই যুবলীগ কর্মী রঞ্জু প্রামাণিক। এরপর ঝন্টু ও তাঁর ভাতিজা নাদিম প্রামাণিক যুবলীগের ছত্রছায়ায় থেকে শাহিন বাহিনীকে ঠেকাতে নিজেরাও আরেকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ করতেন। সব শেষে শাহিন বাহিনীর সদস্য ফোরকান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি করা হয় যুবলীগ কর্মী ঝন্টুকে।