যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৫৬ টাকা কেজি দরে ভারত থেকে ৪০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে।
আজ রোববার দুইটি চালানের মাধ্যমে চারটি ট্রাকে করে এই কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। শুল্কায়ন শেষে দুই ট্রাক বন্দর ছেড়ে গেছে। রাতে অবশিষ্ট আরও দুই ট্রাক বন্দর ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
আজ বিকেলে কাঁচা মরিচের দুটি চালান বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান যশোরের ঊষা ট্রেডিং ২০ টন ও অপর আরেকটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন মরিচ আমদানি করেছে। ঊষা ট্রেডিংয়ের পণ্য বন্দর থেকে ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান রয়েল এন্টারপ্রাইজ।
রয়েল এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক রায়হান কবির প্রথম আলোকে বলেন, এক হাজার কেজি কাঁচা মরিচের জন্য এলসি খোলা হয়েছে ২৫০ ডলারে। এর সঙ্গে প্রতি কেজির শুল্কায়ন মূল্য পড়েছে প্রায় ৩৩ টাকা। অর্থাৎ আনুষঙ্গিক খরচ মিলে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের আমদানি মূল্য পড়েছে প্রায় ৫৬ টাকা।
বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও কাঁচা মরিচ আমদানি হবে। বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আবদুল জলিল বলেন, আজ চারটি ট্রাকে করে ভারত থেকে ৪০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে দুই ট্রাক মরিচ বন্দর ছেড়ে গেছে। আরও দুই ট্রাক রাতে বন্দর ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে আজ যশোরের স্থানীয় বড় বাজারে পাইকারি প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫১০ থেকে ৫২০ টাকা ও খুচরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বেচাকেনা হয়েছে।
জানতে চাইলে বড় বাজারের সবজির আড়ত মা ভান্ডারের প্রতিনিধি বিধান সাহা বলেন, যশোরের স্থানীয় কৃষকদের মরিচ বাজারে নেই। ফরিদপুরের মধুখালীর মরিচ যশোরে আসছে। আজ ৫১০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি দরে পাইকারি কেনাবেচা হয়েছে। এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির খবরে আগামীকাল থেকে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।