অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। আজ মঙ্গলবার সকালে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের সামনে সিরাজগঞ্জ- নলকা সড়কে
অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। আজ মঙ্গলবার সকালে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের সামনে সিরাজগঞ্জ- নলকা সড়কে

শিক্ষার্থীকে গুলি

শিক্ষক রায়হানের চাকরিচ্যুতি ও শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার অভিযোগে শিক্ষক রায়হান শরীফের চাকরিচ্যুতি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেডিকেল কলেজে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী আঞ্চলিক সড়কে এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভে সিরাজগঞ্জ-নলকা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বিক্ষোভস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ-২ (সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ) আসনের সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী। তিনিও ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে কলেজের অধ্যক্ষ আমিরুল হোসেন চৌধুরী ও সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন। রায়হান শরীফকে চাকরিচ্যুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়া হলে আরও কঠোর আন্দোলন করা হবে বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। আজ মঙ্গলবার সকালে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ চত্বরে

গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জ সদরের শিয়ালকোল এলাকায় অবস্থিত শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে আরাফাত আমিন ওরফে তমাল নামের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলেজটির ক্যাম্পাস। গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন ওই মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি বগুড়া পৌর শহরের ধানসিঁড়ি নাটাই পাড়া মহল্লার আবদুল্লাহ আল আমিনের ছেলে। এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করছেন। ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত তিন সদস্যের একটি কমিটি মেডিকেল কলেজে এসে তদন্ত শুরু করেছে।