রাজবাড়ীতে ঘরে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ, স্বামী পলাতক

লাশ
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় ঘরে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ। আজ বুধবার সকালে উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী পলাতক।

নিহত গৃহবধূর নাম রাশেদা বেগম (২৬)। তাঁর স্বামী আবদুল মিয়া টাইলসের মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেন।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে আবদুল মিয়া ও রাশেদা বেগম দম্পতি ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ হচ্ছিল। পরে দেখা যায়, ঘরের দরজায় বাইরে থেকে তালা মারা। রাশেদার এক ভাগনে বেড়ার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে রাশেদার লাশ ঘরে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। এতে আশপাশের লোকজন চলে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা ভেঙে রাশেদার লাশ উদ্ধার করে। ওই গৃহবধূর মাথায় ইট দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথার বিভিন্ন অংশ থেঁতলে গেছে।

মাঝবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, রাশেদার স্বামী আবদুল মিয়া ঢাকায় কাজ করতেন। বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকতেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসতেন। ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।

কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রাণ বন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহত গৃহবধূর স্বামী আবদুল মিয়া পলাতক। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে।