যানবাহনে ডাকাতি করে পালানোর সময় গণপিটুনি, একজন নিহত

গণপিটুনি
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনে ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ডাকাতদের ধরতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হন। তাঁকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে মেঘশিমুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। আহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম রাকিব হোসেন। তিনি মানিকগঞ্জ সদর থানায় কর্মরত।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে সদর উপজেলার বারাহিরচর এলাকা থেকে ব্যাটারিচালিত একটি হ্যালোবাইকে করে অসুস্থ এক নারীকে নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে যাচ্ছিলেন স্বজনেরা।

রাত দুইটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মেঘশিমুল এলাকায় সাত থেকে আটজনের ডাকাত দল গাড়িটির গতি রোধ করে সামনে দাঁড়ায়। এ সময় হ্যালোবাইকে থাকা রোগীর স্বজনদের কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা ও একটি মুঠোফোন লুটে নেয় ডাকাতেরা।

এর কিছুক্ষণ পর রোগীর এক স্বজন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে টহলরত সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান ও কনস্টেবল রাকিব হোসেন ঘটনাস্থলে যান। এ সময় মহাসড়কের পাশে একটি ঝোপে সাত থেকে আট ব্যক্তিকে মুখ গামছা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় পান।

পুলিশ সেখানে গেলে এক ডাকাত সদস্য হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে কনস্টেবল রাকিবের মাথায় কোপ দেন। এতেই গুরুতর আহত হন তিনি। এ সময় এসআই মাহমুদুল ‘ডাকাত, ডাকাত’ বলে চিৎকার করলে মহাসড়কে চলাচলরত বাসের যাত্রী ও স্থানীয় লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করেন। পরে সন্দেহভাজন এক ডাকাতকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ কামরুল হাসান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার ঘটনাস্থলে যান। পরে আহত কনস্টেবল ও ডাকাত সদস্যকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ওসি আবদুর রউফ সরকার বলেন, শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাকাত সদস্যকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তাঁর পরিচয় বের করার চেষ্টা চলছে। তাঁর লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।