প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র রমজান মাসে সেন্ট মার্টিন-ইনানী-কক্সবাজার নৌপথে আগামীকাল সোমবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষ্য, আগামী মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে রমজান মাস। অতীতের মতো এ সময়ে পর্যটকের আগমন কমে যাবে। তাই এ সময়টায় জাহাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই নৌপথে পর্যটকবাহী এমভি বার আউলিয়া জাহাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আলম।
অঘোষিতভাবে রোববারই ছিল পর্যটন মৌসুমের শেষ দিন। আজ এমভি বার আউলিয়া জাহাজে ৩৪৬ জন ও এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে ৪৫৫ জন পর্যটক সেন্ট মার্টিন যান। আবার বিকেলে তাঁরা একই জাহাজে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনী জেটিঘাটে ফিরে আসেন।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে। এর জেরে পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থের জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে টেকনাফ-সেন্ট মাটিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেয়। ওই নৌপথে সাধারণত ১০টি জাহাজে করে দৈনিক ৮ থেকে ১০ হাজারের বেশি পর্যটক সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণ করতেন।
টেকনাফ-সেন্ট মাটিন নৌপথ বন্ধ করার পর চাপ পড়ে সেন্ট মার্টিন-ইনানী-কক্সবাজার নৌপথের ওপর। এ নৌপথে আগে থেকে ছিল এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস। ১১ ফেব্রুয়ারি বন্ধ হয়ে যাওয়া নৌপথ থেকে এসে এ নৌপথে যোগ দেয় এমভি বার আউলিয়া।
এমভি বার আউলিয়া জাহাজের ব্যবস্থাপনার পরিচালক মাহবুব আলম জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি গ্রামগুলোতে চলমান সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজগুলো চলাচল বন্ধ করেছিল জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এরপরও পর্যটকসেবার কথা মাথায় নিয়ে উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনীর জেটিঘাট থেকে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও এমভি বার আউলিয়া নামের দুটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করছিল।
পবিত্র রমজানে জাহাজ দুটি বন্ধের বিষয়ে মাহবুব আলম বলেন, আসন্ন রমজান মাস সামনে রেখে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাই প্রতিবছরের মতো জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ দুটির চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধে কোনো নির্দেশনা নেই। ব্যবসায়িক কারণে জাহাজ কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারে। পর্যটনসেবায় নিয়োজিত সব মাধ্যমকে সহযোগিতা দিতে প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে।